শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি,তেলিয়ামুড়া, ৭ ডিসেম্বর || দুই সন্তানের জননী ২৭ বছরের জনজাতি গৃহবধূ জেসমিন দেববর্মাকে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়, ঘটনাস্থল কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত হলুদিয়া এডিসি ভিলেজের হাজারী বাড়ি এলাকা। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসুনক্রান্তি ত্রিপুরা দাবি করেছেন গতকাল রাত আনুমানিক নয়টার কিছু পরে কল্যাণপুর থানায় জেসমিন দেববর্মা তার স্বামী সহ নিখোঁজ এরকম একটা ডাইরি করা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে পুলিশ এবং এলাকাবাসীরা গতকাল এবং আজ সকালে যথারীতি সম্মিলিতভাবে খোঁজ করতে থাকে। একটা সময়ে পুলিশ নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পায় জেসমিনকে তার স্বামী খুন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার একটা ঘন জঙ্গলে মাটিচাপা দিয়ে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় তার উপরে গাছের ঝোপঝাড় দিয়ে রাখে। পুলিশ তল্লাশি সংগঠিত করে তারপর মাটি খুঁড়ে জেসমিনের রক্তাক্ত এবং নিথর দেহ উদ্ধার করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টা যে একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড সেই বিষয়ে নিশ্চিত মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসুন ক্রান্তি ত্রিপুরা পাশাপাশি তিনি অনুমান করছেন হয়তো ধারালো কোন অস্ত্র বা ছুরি ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ যখন সংশ্লিষ্ট গৃহবধুর দেহ উদ্ধার করতে গেছিল তখন সাধারণ মানুষ কোন প্রকারের সুযোগ সহযোগিতা করেনি দেখা গেছে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং কল্যাণপুর থানার ওসি ইনস্পেক্টার তাপস মালাকার নিজেরাই মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে কাঁধে করে দেহ নিয়ে এসেছে।
এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মিন্টু দেববর্মার খোঁজে জোর তল্লাশি জারি রেখেছে, শেষ সংবাদ পর্যন্ত মৃতদেহ কল্যাণপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার পেছনে কি রয়েছে তা নিয়ে এলাকা জুড়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তবে মোটামুটি খবর নিয়ে জানা গেছে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল এবং এর পেছনে কোনভাবে স্বামী মিন্টু দেববর্মার অবৈধ কোন সম্পর্ক থেকে থাকতে পারে বলে একাংশের অভিমত। যদিও গোটা বিষয়টাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।।