শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৯ জুলাই।।বিশালগড়ের ছিঁচকে নেতা তথা নেশাকারবারী সাগর দাস পুলিশের জালে। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশালগড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাগর দাসকে। শনিবার গভীর রাতে বিশালগড় থানাধীন আমবাগান এলাকা থেকে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশালগড় থানার ওসি বাদল চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, বিশালগড় থানায় দুটি NDPS মামলায় অভিযুক্ত সাগর দাস। বিশালগড় থানার যার মামলা নম্বর 96/2022 এবং 14/2023। তাছাড়াও বিশালগড়ের অসংখ্য মামলার সাথেও সাগর যুক্ত বলেও জানিয়েছেন ওসি বাদল চন্দ্র সাহা। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের বিপরীত পাশে নেশা কারবারী সাগর দাসের বাড়ি। নিজের বাড়িতেই ২৪ ঘন্টা কৌটা, ব্রাউন সুগার, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ সিনথেটিক নেশার কারবার চালাতো সাগর। যার ফলে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা অঘোষিত নেশার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এতোসব অভিযোগ থাকা সত্বেও সাগরকে গ্রেফতার না করায় দপ্তরের তরফে বিশালগড় থানার 2 জন সাব ইন্সপেক্টর এর বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অবশেষে নড়েচড়ে বসে বিশালগড় থানার পুলিশ বাবুরা। এবং শনিবার গভির রাতে সেই কুখ্যাত নেশা কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে অভিযুক্ত সাগর দাসকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে তুলেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, সাগর দাস বিজেপি বিশালগড় মন্ডলের ৪১ নং বুথের যুব মোর্চার সভাপতি।এমনিতেই বিশালগড়ে বিভিন্ন নেশা কারবারি সহ চোর, ছিন্তাইবাজদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ নতুন বিষয় নয়। সাগর দাস এদের মধ্যে নগন্য এক পিপিলিকা মাত্র। এই ছিঁচকে সাগরকে এতদিন যাবৎ পুলিশ কেন গ্রেফতার করেনি তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বহু প্রশ্ন প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়াও আসল রাঘববোয়ালরা এখনও মাথা উঁচু করে খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন মহলের দাবি মূল কারবারীদের যতদিন না পর্যন্ত বাগে তোলা যাবে ততদিন বিশালগড় নেশার মৃগয়াক্ষেত্র হিসেবেই রয়ে যাবে। এখন দেখার এই ছিঁচকে নেশা কারবারিকে আটকের মাধ্যমে বিশালগড়ের পুলিশ বাবুরা মূল কারবারিদের টিকির নাগাল পায় কিনা।