শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি,বিশালগড়,২৬ নভেম্বর ||সোনামুড়া থানার বিরুদ্ধে, দাওদারানির, এরশাদ মিয়া ওরফে খুরশেদ, ১৬ লক্ষ টাকার যে আত্মসাৎ এর অভিযোগ, করেছিল, তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা অভিযোগ, বলেন সোনামুড়া থানার ওসি পরিতোষ দাস।গত চোঠা নভেম্বর, চেন্নাই পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশন অফ পুলিশ, ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, সহ মোট সাতজনের একটি টিম সোনামুড়া থানায় আসে, এর কারণ, সিটু ফ্লাওয়ার বাজার মার্ডার কেসের আসামি, দাও ধারানী মাদ্রাসা সংলগ্ন এরশাদ মিয়া উরূপে খুরশেদ বাড়িতে ছিল বলে চেন্নাই পুলিশের কাছে খবর। তাই অথরিটির নির্দেশ অনুসারে সোনামুড়া থানার ওসি, পুলিশ, টি এস আর,চেন্নাই পুলিশের সাতজন সহ এরশাদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়।ঐদিন রাত্রে, চেন্নাই পুলিশ ও Tsr থানার পুলিশ শুধুমাত্র এরশাদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় নি, আশেপাশের সমস্ত বাড়ি ঘরে রাত্র বারোটা থেকে ভোর রাত্র চারটা পর্যন্ত অভিযান চলে। এরশাদ মিয়া ওরফে খুরশেদ, এর বাড়িতে অভিযান কালে, তারা কোন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি, শেষ পর্যন্ত সাক্ষী সমেত,অভিযান চালানোর, সই নিয়ে পুলিশ থানায় চলে আসে। কিন্তু ৮ দিন পর, এরশাদ মিয়া ওরফে খোরশেদ, সুনামুরা থানার বিরুদ্ধে এক মিথ্যা অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করেন, সে মামলাতে, বলা হয়েছে চৌঠা নভেম্বর, সুনামুরা থানার পুলিশ, চেন্নাই পুলিশ, টিএসআর বাহিনী, যে অভিযান চালিয়েছিল, সেদিন নাকি এরশাদ মিয়া ওরূপে খুরশেদের বাড়ির ছাদ থেকে সুনামুরা থানার পুলিশ ১৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আসে। তাও আবার অভিযোগ আট দিন পর। এটা যে এরশাদ মিয়া ওরফে খোরশেদ এর বানানো প্লেন ছিল, সেটা সোনামুড়া থানার পুলিশের বুঝতে আর বাকি ছিল না।যদি পুলিশ এরশাদ মিয়া ওরফে খুরশেদ, বাড়ি থেকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতো, তাহলে সে টাকা একটি বড় বেগে থাকতো, ১৬ লক্ষ টাকা তো এক দুই টাকা নয়, তাহলে অবশ্য বাড়ির মালিকের নজরে পড়তো সেই টাকার ব্যাগ পুলিশ আনার সময়। এবার শুনুন মূল রহস্য। সূত্রে খবর, এবং ওই এলাকার খবর নিয়ে জানা গেছে। এই 16 লক্ষ টাকার মধ্যে এরশাদ মিয়ার, ১২ লক্ষ টাকা, জমি বিক্রি টাকা। সেই জমি বিক্রির টাকা পুরোটাই এরশাদ মিয়ার হাতে ছিল, সেই টাকা নিজেদের ভাইয়ের মধ্যে এরশাদ মিয়া ওরপে খোরশেদ ভাগ বাটোয়া করার কথা ছিল। কিন্তু এরশাদ মিয়া ওরফে খোরশেদ , সেই টাকা নিজে আত্মসাৎ করার জন্য, সুযোগ বুঝে, পুলিশের উপর কোপ মারলেন, এই এরশাদ মিয়া, সোনামুড়া থানার ওসি মানিক দেবনাথ থাকার সময়, এরশাদ মিয়ার রাস্তা নাকি চার লক্ষ টাকা হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে সোনামুড়া থানা একটি ডাইরি করেছিলেন, সেখানেও এক সন্দেহ তৈরি হয়েছিল সেদিন, এরশাদ মিয়া ওরপে খোরশেদ মিয়ার উপর। এবার জেনে নিন, কে সে এরশাদ মিয়া বা উরূপে খোরশেদ। একজন কালোবাজারি, যিনি রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে, উঠানো নামানোর কাজ করতেন। তাছাড়া গরু ব্যবসা, ও বিভিন্ন নেশা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে উনি নিজেকে কৃষক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।তাছাড়া অন্য একটি সূত্র খবর থেকে জানা গেছে, সোনামুড়া থানার ওসি পরিতোষ দাস যোগ দেওয়ার পর,সোনামুড়া শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য, রাজের মুখ্যমন্ত্রী নেশা বিরোধী স্লোগান কে কাজ করতে গিয়ে, আজকে বদনামের খাতায় নাম উঠতে হলো। এর কারণ, ওসি পরিতোষ দাসের ঘনঘন নেশা বিরোধী অভিযান, নেশা ব্যবসায়ীদের মাথায় যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে যেকোন মূল্য যেভাবেই হোক, থানার ওসি পরিতোষ দাসের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে, ওসিকে এখান থেকে ট্রান্সফার করা, এরশাদ মিয়ার, ১৬ লক্ষ টাকার, যে মিথ্যা অভিযোগ, এর মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। তবে এরশাদ মিয়া, ওরপে খোরশেদ, যে ১৬ লক্ষ টাকার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে মানুষ এখন এরশাদের উপর ছিঃ করছে।