শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি,বিশালগড়, ১১আগরতলা|| বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিবাহিত মহিলার সঙ্গে চা বাগানের বাবুর অবৈধ সম্পর্ককে ঘিরে উত্তেজনা ঘটনা বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত হরেন্দ্রনগর চা বাগানে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অন্তর্গত হরেন্দ্রনগর চা বাগানের চা শ্রমিক অবিনাশ মুন্ডার স্ত্রী শিবানী উরাং মুন্ডা গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে পাওয়া যায়। জানা যায় হরেন্দ্রনগর চা বাগানের চা শ্রমিক অবিনাশ মুন্ডা ভালোবেসে বিয়ে করে লক্ষ্মীলুঙ্গা চা বাগানের শিবানী উড়ংকে,তাদের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।তাদের সংসার খুব ভালো চলছিল,কোনো প্রকার জামেলা ছিলনা।কিন্তু এর পরই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রবেশ করে অবৈধ সম্পর্ক,সম্প্রতি প্রায় ৬ মাস ধরে হরেন্দ্রনগর চা বাগানের এক বাবু নাম বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তা ছলে বলে কৌশলে বিয়ে প্রলোভন দিয়ে বিবাহিত শিবানী উড়াং মুন্ডাকে ফাঁসিয়ে শারীরিক লালসা চরিতার্থ করে পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় সেই মহিলা ও জানান গত বুধবার স্থানীয় এক বাড়ির পেছনে জঙ্গলে সে এক রাত কাটিয়েছে তার প্রেমিক বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তা এর সঙ্গে।এবং বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তা সেদিনের পর পালিয়ে যায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনা জানাজানি হতেই।তাই আজ এই মহিলার স্বামী , পাড়ার জনগন এই মহিলাকে নিয়ে হরেন্দ্রনগর চা বাগানে আসে পালিয়ে যাওয়া বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তাকে এনে দিতে কারণ মহিলার স্বামী এই ঘটনার পর মহিলার সঙ্গে আর সংসার করবেন না,বাড়ির লোক ও রাখবে না।এমত অবস্থায় এই মহিলাকে হরেন্দ্রনগর চা বাগানের বাবু বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তার বিয়ে করতে হবে পাশাপশি বাগান কর্তপক্ষের কাছে গুপ্তকে এনে দিতে দাবি জানান।এবং শেষ পর্যন্ত এই বিবাহিতা মহিলাকে কমলপুর তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এলাকাবাসীর তরফে এবং এই ঘটনায় হরেন্দ্রনগর চা বাগানের বাবু অর্থাৎ অবৈধ প্রেমিক বিশ্ব প্রতাপ গুপ্তার বিরোদ্ধে বামুটিয়া ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা যায়।
বিবাহিত মহিলার সঙ্গে চা বাগানের বাবুর অবৈধ সম্পর্ক
