পটনা: কোটি টাকার নগদের পাহাড়। বিপুল পরিমাণের সোনা ও রুপোর গয়না। নগদ গণনা করতে আনতে হয়েছে যন্ত্রও। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি, শনিবার বিহার ভিজিল্যান্স বিভাগের এক অভিযানে এই ‘গুপ্ত’ধনের খোঁজ মিলেছে কিষাণগঞ্জের এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে। ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তাদের দাবি, অন্তত ১ কোটি টাকার নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নগদ গণনা এখনও চলছে। তাই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন ভোরেই বিহারের গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় কুমার রাইয়ের বাড়িতে হানা দেয় ভিজিল্যান্স বিভাগের একটি দল। ভিজিল্যান্স বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ১ কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ পাওয়া গিয়েছে। পূর্ত বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ক্যাশিয়াররাই ওই ইঞ্জিনিয়ারের ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে ভিডিল্যান্স বিভাগকে তথ্য দিয়েছলেন।
এরই মধ্যে নোটের নম্বর মেলানো শুরু করেছে তদন্তকারী সেই দলটি। তল্লাশি অভিযানে আরও বেশ কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও পাওয়া গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধারের কারণে একটি নোট গণনা যন্ত্র বসানো হয়েছে বলে খবর। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ভিজিল্যান্স), সুজিত সাগর। তাঁর মতে, সঞ্জয় কুমার রাইয়ের বিরুদ্ধে বিহারের বেশ কয়েকটি ঘুষ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শুধু বাড়িতেই নয়, ইতিমধ্যে, ভিজিল্যান্স বিভাগ পটনা সহ বিহারে সঞ্জয় কুমার রাইয়ের আরও ৩-৪টি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (FIR) নথিভুক্ত করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “আমরা তদন্ত করছি এবং তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। আজ এখনো অব্দি প্রায় ১ কোটি টাকার নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং কিছু অপরাধমূলক নথি এবং সোনা-রুপোর গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে।”