36 C
Agartala
Sunday, April 14, 2024
- Advertisemet -spot_img

পাহাড় জুড়েই রাজনৈতিক সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ খুমলুঙে জে পি নাড্ডার জনসভাকে কেন্দ্র করে পাহাড়জুড়েইযেন চলল রাজনৈতিক সন্ত্রাস। যার দিকে অভিযোগের আঙুল তারা তিপ্রা মথা। আর অভিযোগ করছে খোদ বিজেপি। আসলে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে খুমলুঙে যেতে শুরু করেন বিজেপির জনজাতি কর্মী-সমর্থকরা। সেই মোতাবেক সব ঠিক থাকলেও ধীরৈ ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিভিন্ন এডিসি অধ্যুষিত অঞ্চল।

উত্তপ্ত জম্পুইজলার অমরেন্দ্রনগর:

আজ সকাল ১২ টা বাজতেই খবর আসে উত্তপ্ত জম্পুই জলা আরডি ব্লকের অন্তর্গত অমরেন্দ্র নগর ভিলেজ কমিটির এলাকার মহরম বাজার। সর্বভারতীয় BJP সভাপতির জনসভায় যোগদান করার পথে প্রমোদনগর মহারাম বাজারে ত্রিপ্রা মথা কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা । প্রথমে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটক করে বেধড়ক আক্রমণ চালায় ত্রিপ্রা মথা কর্মীরা, এমনটাই গুরুতর অভিযোগ। ত্রিপ্রা মথা কর্মীদের আক্রমণে আহত হয় প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের নিয়ে আসা হয় বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমি হাসপাতালে সেখান থেকে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন ।

উত্তপ্ত মুঙ্গিয়াগামী:

সকালে খুমলুং জনসভায় যাবার পথে তিপ্রামথা নামধারী দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণে আহত মহিলা সহ মোট সাতজন বিজেপি জনজাতি মোর্চার কার্যকর্তা। ভাংচুর করা হয় তাদের গাড়িও । ঘটনা নমনঞ্জয় বাড়ি এলাকায় সোমবার দুপুরে।
খবরে জানা গেছে,,, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডার এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয় খুমলং-এ সোমবার। এই জনসভায় যোগদান করার উদ্দেশ্যে বিজেপি জনজাতি মোর্চার সাতজন সদস্য একটি গাড়ি যোগে খুমলুং যাওয়ার পথে আচমকাই নমঞ্জয় পাড়া এলাকায় বিজেপি দলের জনজাতি মোর্চার ওই কার্যকর্তাদের উপর লাঠি সটা নিয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায় তিপ্রামথা দলের দুষ্কৃতিকারীরা,ভাংচুর করা হয় তাদের গাড়িও। কোনক্রমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তারা চিকিৎসার জন্য আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খোয়াই জেলার একাধিক থানার পুলিশ। বর্তমানে মহিলা সহ বিজেপি জনজাতি মোর্চার ওই সাতজন কার্যকর্তা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এইসব ঘটনার পর অনেকে বলছে পাহাড়ে কেন এত মার খাচ্ছে বিজেপি। সমতলে বিজেপির বহু শক্তি দাপট দেখালেও পাহাড়ে কী নেই? যাই হোক, রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটা কোনোক্ষেত্রেই উচিত নয়, যেই ক্ষমতাসীন হোক না কেন। সে জায়গায় ভোট এগোলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ কী বাড়বে আরো?সেটা এখন প্রশ্নচিহ্নে।

Related Articles

যোগাযোগ রেখো

82,829ভক্তমত
834অনুগামিবৃন্দঅনুসরণ করা
1,320গ্রাহকদেরসাবস্ক্রাইব

সাম্প্রতিক প্রবন্ধসমূহ