শ্যামলী ত্রিপুরা,আগরতলা প্রতিনিধি: আগের থেকেই খবর ছিল আজ বিধানসভা অভিযানে যাবে ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঠিক সেই মোতাবেকই অভিযান করতে যায় ১০৩২৩। কিন্তু আজ সেই অভিযান করতে গিয়েই রণক্ষেত্র বেঁধে যায় সার্কিট হাউসে।
রবীন্দ্রভবন থেকে সার্কিট হাউসের দিকে আসতেই পুলিশ বাঁধা দেয় ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস-জল কামান। কিন্তু সব কিছু ফেলে পুলিশি ব্যারিকেট ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন চাকুরিচ্যুত শিক্ষকশিক্ষিকারা। ফলে পুলিশ-টিএসআর-সিআরপিএফদের হাতে লাঠিপেটা খেতে হল ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুতদের। লাঠি পেটা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ তো ডাস্টবিন, টমটমে আড়াল হতেও চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেও গিয়ে লাঠিপেটা করে ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুতদের উপর। আজকের এই ঘটনাতে আহত-গুরুতর আহতও হন বহু শিক্ষিকা। আহতদেরকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পাঠানো হয় জিবিতে। ১০৩২৩ দের উপর যে হামলা হয়েছে তাতে বোঝা মুশকিল তারা হইত বা কোনোকালে শিক্ষক ছিল। নির্মমভাবে লাঠিপেটার সেই ছবি, মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সেই ছবিগুলা হইত সেই কালো হয়েই থেকে যাবে।
শুধু শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকাদের উপরই নয়, কোথাও তো দেখা গেছে, পথচারীদের উপরও হামলা এনেছেন তারা। পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছে করলে হইতো তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবেই আটকাতে সক্ষম হত। কিন্তু যেভাবে এদিন হমালা- লাঠিচার্জ -টিয়ারগ্যাস কিংবা জলকামানের ছড়াছড়িতে হামলা এনেছে তাতে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে তো এও বলছে, পুজো তো আসছে, আলোয় সাজবে চতুর্দিক কিন্তু ১০৩২৩ এর ঘরে কী জলবে পুজোর আলো?