পুজোর দিনগুলোতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সাধারণ মানুষের বাজার। দুর্গোৎসবের কয়েক দিন আগেই শাক সবজির বাজারে অগ্নি মূল্য। ঝিঙ্গে বেগুন করলা মুলো পটল ইত্যাদির কেজি শুরু ৮০ টাকা থেকে। মাছ-মাংসের কথা তো আর না বললেই ভাল।
পাঁঠার মাংস বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা থেকে। ১৩০০ কিংবা ১৪০০ টাকায় ইলিশ মাছের কেজি শুরু। দুর্গোৎসব শেষ হয়ে গেলেও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বাজারের অবস্থা আরো ভয়ংকর। পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে আগে থেকেই বেশ ব্যবসায়ীদের তরফে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তথা পুজোর নৈবেদ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন রীতিমতো সেসব বিক্রি শুরু হয়েছে চড়া দামে। রাজধানী তো বটেই রাজ্যের সর্বত্রই বাজারে, রাস্তার পাশে উঠে রয়েছে লক্ষী মায়ের প্রতিমা।
আপেল আঙুর বেদানা নাশপাতি কলা ইত্যাদিতে আগুনের মূল্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেবী লক্ষ্মীর বিভিন্ন নৈবেদ্যেও মারাত্মক দাম। যে যেভাবে খুশি মূল্য রাখছে বিভিন্ন পণ্যের। শুক্রবারবার মহারাজগঞ্জ বাজার, বটতলা বাজার, মঠ চৌমুহনি বাজারসহ আরো কয়েকটি বাজারে লক্ষ করা বা গেল বাজি ব্যবসায়ীরা পাইকারি হারে নিষিদ্ধ নানান বাজি পটকা বিক্রি করছেন। খুবই সন্তর্পণে ক্রেতাদের অবস্থান বুঝে সেসব বিক্রি করা হচ্ছে।বাজারে যেহেতু একাংশ বিক্রেতাদের মর্জি মাফিক রাজত্ব চলছে তাই কেন পুজোর দিনগুলিতে দপ্তর কোনো
অভিযান চালাচ্ছে না সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সে ক্রেতাদের মধ্যে। সাধারণত রাজ্যের প্রতিটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে পূজিত পা হয়ে থাকেন লক্ষ্মী দেবী। এক্ষেত্রে কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখা এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সেটাই আশ্চর্যের। আজকে তাদের বক্তব্য সময় মত যদি দফতরের শাখা ব্যবস্থা না এনে তাহলে শেষ সময়ে এসে কী লাভ? প্রতিবারই ডা দেখা গেছে যখন ক্রেতাদের কেনাকাটা প্রায় শেষ করবে ঠিক তখনই লোক দেখানো অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য দপ্তরের বিভাগীয় শাখা। এখানে উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট শাখার 同 তরফে প্রতি মাসে অন্তত একবার হলেও রাজধানীর প্রধান বাজারগুলোতে অভিযান থে চালানো। সে যাই হোক, মাঝে আর একদিন তারপরই লক্ষ্মীপূজা। আর এই পূজাকে প্র ঘিরে সর্বত্র ব্যবসায়ীরা যে ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য তৈরি হয়ে আছেন সেটা বলাই বাহুল্য। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সেই বিষয়টি লক্ষ করা গেল। পুজোর কাজে ব্যবহৃত বস্তুসামগ্রীর দামই বেছে বেছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।