শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, বিলোনিয়া ১৮ মে।। বিলোনিয়া মুহুরিঘাট সীমান্ত স্থলবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার দুপুরে সরোজমীনে খতিয়ে দেখেন দিল্লি থেকে আগত অতিরিক্ত সচিব বিনায়ক আজাদের নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এক প্রতিনিধি দল । এরপর মুহুরীঘাট সীমান্ত স্থলবন্দরের পরিকাঠামো, পাসপোর্টে যাত্রীদের আসা-যাওয়ার অবস্থা, সীমান্ত নিরাপত্তা অবস্থা, বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা পর্যালোচনা করেন
বিলোনিয়া কাস্টমস অফিসে বসে । এরপরেই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এদিন বিনায়ক আজাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চান, প্রত্যেকবারেই বিভিন্ন সময় দিল্লি সহ বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা সহ এমনকি যৌথভাবে প্রতিনিধি দল একের পর এক মুহুরী স্থলবন্দর সফর করে যাচ্ছেন। কিন্তু সার্বিক পরিকাঠামোর কোন অবস্থায় পরিবর্তন নেই । যা রয়েছে তাই বর্তমান। মুহুরীস্থলবন্দর সার্বিক পরিকাঠামো অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য ১১ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও বাস্তবে কাজ আর রূপায়িত হয়নি কেন ? একসময় বাংলাদেশ বিজিবি থেকে বাধার সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে থেকে কাজ বন্ধ হয়ে থাকার পর আর শুরু হয়নি কেন ? সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের করা প্রশ্নের উত্তর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জবাব দেন দিল্লি থেকে আগত অতিরিক্ত সচিব বিনায়ক আজাদ । একটি সুত্রে জানা যায় এরই মধ্যে ভারত বাংলাদেশ আলোচনায় এই বিষয়ে বাংলাদেশের সম্মতি পাওয়া গেছে । বেশ কিছুদিন আগে তিন দেশের প্রতিনিধি ত্রিপুরা সফর আসার পর বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রী বিলোনিয়া মুহুরী ঘাট সীমান্ত স্থলবন্দর পরিদর্শন করে যান। এই সময় দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক মুহুরীঘাট সীমান্ত স্থলবন্দরের পরিকাঠামগত পুরো বিষয় তুলে ধরেন তিন দেশের প্রতিধিদের সামনে।