নয়াদিল্লী: এখন থেকে অন্তত আরো ছমাস! তার পরই পাওয়া যাবে করোনার ওমিক্রন-প্রতিরোধী প্রতিষেধক। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি,বৃহস্পতিবার তেমনই জানিয়েছেন পুনের ওষুধ ও টিকা নির্মাতা সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা।
বৃহস্পতিবার দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি প্রথম সার্ভিক্যাল ক্যানসারের টিকার উদ্বোধন করে এসআইআই। সেই অনুষ্ঠানে সংস্থার কর্ণধার জানান, দ্রুত কোভিড-১৯-র ওমিক্রন প্রজাতির মোকাবিলায় নির্দিষ্ট টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘কোভোভ্যাক্স’-র যতটুকু তথ্য রয়েছে, তা যথেষ্ট ভাল। ‘নোভাভ্যাক্স’-র প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। পুনাওয়ালার মতে, সার্স-কোভ-২-র ওমিক্রন প্রজাতির মোকাবিলায় ‘কোভোভ্যাক্স’যথেষ্ট সাড়া দিয়েছে। তবে আপাতত, ‘নোভাভ্যাক্স’-র সঙ্গে জোট বেঁধে ওমিক্রনের জন্য সুনির্দিষ্ট টিকার তৈরির কাজ করছে এসআইআই। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্সের আপৎকালীন ব্যবহারের শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিয়েছিল ডিসিজিআই। গত মে মাসে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য ওই টিকার ব্যবহারে ছাড় মেলে। আর তার পরের মাসেই ৭-১১ বছরের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওই টিকা ব্যবহার করা যাবে বলে জানায় ডিসিজিআই। উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি এসআইআই জানিয়েছিলেন, ওমিক্রনের জন্য নির্দিষ্ট যে টিকা তৈরির কাজ চলছে, তা চলতি বছরের শেষেই চলে আসার কথা। এই প্রতিষেধককে অনেকটা ‘বুস্টার’-র মতো গণ্য করতে আর্জি জানান তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর কথায় যা ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে ওই টিকার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে দেশবাসীকে।