শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, বিলোনিয়া ২৬ এপ্রিল।।প্রতারণার শিকার ঝুমা দাস নামে এক যুবতী। বর্তমানে বিলোনিয়া সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতারক সুজন পাল (২৮)। বাড়ি পি আর বাড়ি থানাধীন বড়পাথরীর সোনাপুর এলাকায়। প্রতারিত এবং নির্যাতিতা ঝুমা দাস জানায় বছর খানেক আগে সামাজিক মাধ্যম facebook এ সুজন পালের সাথে পরিচয়। ঝুমার বাড়ি সোনামুড়া মহকুমার নলছড়ে। বাবা মা থেকে শুরু করে আপন কেউ নাই ঝুমার। তাই ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে পাড়ি দেয় ব্যাঙ্গালোরে। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ নেয় ঝুমা। সুজন পাল একই জায়গায় একটি বারে কাজ নেয়। কিছুদিন পর বেঙ্গালুরুতে একটি মন্দিরে দুজন নিজের ইচ্ছাতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। চলতে লাগে সুখের সংসার। ৬-৭ মাস দুজনে একসাথে থাকার পর হঠাৎ করে সপ্তাহখানেক আগে ঝুমাকে ছেড়ে সুজন পাল পালিয়ে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ঝুমা স্থানীয় থানায় নিখোঁজের মামলা করে চলে আসে বিলোনিয়ার বড়পাথরীর সোনাপুর সুজন পালের বাড়িতে। গতকাল রাতে ঝুমা সুজন পালের বাড়িতে এলে সুজনের বাবা তপন পাল, মা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী মিলে তাকে চলে যেতে বলে। অসহায় ঝুমা তারপর পি আর বাড়ী থানার সাহায্যে গতকাল রাত সুজনের বাড়িতে থাকলেও আজ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিলোনিয়া সখীর ওয়ান স্টপ সেন্টারে এলে সরকারিভাবে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয় এবং বিলোনিয়া মহিলা থানায় সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঝুমা জানায় সুজন বর্তমানে চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সুজনের বন্ধুদের মারফত ঝুমা জানতে পারে সে সেখানেই রয়েছে। এখন অসহায় ঝুমা প্রশাসন এবং সরকারের কাছে আবেদন রাখেন সুজনকে ধরে এনে এই ধরনের অপরাধের যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। এখন প্রশ্ন হল মাতৃ পিতৃ এবং স্বজন হীন ঝুমা কোথায় যাবে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এবং সখি ওয়ান স্টপ সেন্টার ঝুমার বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।