শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, পানিসাগর ১৪ জুন।।পারিবারিক বিছিন্নতা কে কেন্দ্র করে কিডনি জনিত সমস্যায় স্বাভাবিক ভাবে মৃত শিশু নির্যাতন সন্তান কে নিয়ে ময়না তদন্তের আর্জি জানিয়ে পানিসাগর পুলিশের দারস্থ অসহায় মা।মৃত সন্তানের মা জানান বিগত প্রায় সাত বৎসর পুর্বে ধর্মনগর শাখাই বাড়ির বাসিন্দা আলাউদ্দিনের পুএ আয়াজ উদ্দিন এর সাথে সামাজিক প্রথা অনুযায়ী ইসলাম ধর্মীয় রীতি মেনে বিবাহ হয় পানিসাগর দক্ষিন পদ্মবিল এলাকার বাসিন্দা রমজান আলির কণ্যা হাসনা বেগমের।বিয়ের পরবর্তীতে কন্যা সন্তানের জন্ম কে কেন্দ্র করে শুরুহয় স্ত্রীর উপর স্বামী সহ পরিবারের সকলের অকথ্য নির্যাতন।এমতাবস্থা কয়েক বছর কাটতে না কাটতে পুনরায় দ্বীতিয়বার দুই মাসের অন্তসত্বা হয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে হাসনা চলে আসে বাবার বাড়িতে।সেই থেকে বিগত দুই বৎসর যাবৎ বাবার বাড়িতে থাকা কালীন সময়ে ফের আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।হাসনা জানায় পারিবারিক বিছিন্নতাকে ঘিরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আদালতে মামলা চলছে।এরই ফাকে প্রথম স্ত্রী হাসনা কে ফাকি দিয়ে আয়াজ ফের আরেকটি বিয়ে করে বসে।হাসনার অভিযোগ তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক বিছিন্ন হলেও আয়াজ নাকি কারনে অকারণে সন্তান দের কিছুহলে দেখে নেবার হুমকি ধমকি দেয়।তাই অসুস্থ ছেলের মৃত্যুর খবর পাটানো হলেও বাবা হিসেবে দেখতে আসেনি আয়াজ।তাই নিরুপায় হয়ে আইনি গ্যারাকলের ভয়ে মৃত সন্তান কে নিয়ে আইনের স্মরনাপন্ন হয়।পরিশেষে পানিসাগর পুলিশের সহায়তায় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ তোলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।এই নিয়ে এলাকায় পানিসাগর মহকুমা জোরে শোকের ছায়া সহ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।