শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, ধর্মনগর ১৩ জুন।।হেরোইন কারবারীকে আটক করে পুলিশের সরনাপন্ন গ্রামবাসীর । থানায় স্টাফ নেই বলে পুলিশের দায়সারা।ক্ষোভে থানা ঘেরাও।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায়,সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ ধর্মনগর থানাধীন পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার দুই নং ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা অজ্ঞাত পরিচয়ের উপজাতি মহিলা সমেত হুসেন আলী নামের এক হেরোইন কারবারীকে আটক করে।পরে স্হানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ জানায় থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টাফ নেই তাই তারা আসতে পারবে না।জনগন যেন সাংবাদিকদের খবর দেন।পরে গ্রামবাসী একাধিকবার পুলিশের সাহায্য চাইলেও পুলিশের তরফে কোন প্রকার সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ।এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার স্হানীয় জনগণ একত্রিত ভাবে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানান।তখন থানার মহিলা পুলিশ ইন্সপেক্টর মমতাজ আক্তার পশ্চিম চন্দ্রপুর গ্রামের এক পঞ্চায়েত সদস্যের সাথে দূর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।তখন গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবশেষে থানার ওসি শিবু রঞ্জন দের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার ওয়াজিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, হেরোইন কারবারী হুসেন আলী অত্র এলাকায় বড়মাপের হেরোইন কারবারী হিসেবে পরিচিত। জনগণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, ধর্মনগর থানার পুলিশ তার কাছে বিক্রি হয়ে আছে,তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।তবে সোমবার রাতে সেই হুসেন আলীকে গ্রামবাসী আটক করে থানার সরনাপন্ন হলে পুলিশ তাল বাহানা করে কেটে পড়ে। তাতে গ্রামবাসীদের কাছে একরকম পরিষ্কার,হেরোইন কারবারী হুসেনের সাথে ধর্মনগর থানার দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। আর যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানে ধর্মনগর থানার পুলিশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নেশা কারবারীদের মদত দিয়ে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নে ভেঙে ছারখার করে দিচ্ছে ।