শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি,পানিসাগর ৭ই জুন || বকাটে যুবকদের দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার পাচ স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা।ঘটনাটি ঘটে উওর জেলার পানিসাগর মহকুমায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,বিগত ৬ জুন সন্ধ্যায় পানিসাগর এলাকার একটি টিউশন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক সাথে থাকা পাঁচ নাবালিকাকে প্রকাশ্য রাজপথে কু প্রস্তাব সহ কুরুচিকর কুটুক্তি করে পানিসাগর মহকুমার জলাবাসা এলাকার বকাটে তিন যুবক।এরা হলেন বএিশ দ্রোন গ্রামের বাসিন্দা প্রাণেশ দাস এর পুএ পল্লব দাস,পূর্ব রৌয়া গ্রামের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নগেন্দ্র দেব নাথ এর পুএ সুকান্ত দেব এবং রৌয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভূপেন্দ্র নাথ এর পুএ ভানু নাথ।জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে রাজপথে তিন যুবক দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে নিজেদের মান বাঁচাতে কোনরকমে নিজেদের আত্মরক্ষা করে নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে সবিস্তারে সব খোলে বলে।অভিযোগ মুলে নাবালিকা কণ্যা গুলোর পরিবারের লোকজন তড়ি ঘরি ছুটে এসে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে তিন অভিযুক্ত কে পেলেও প্রধান অভিযুক্ত পল্লব পালিয়ে যেথে সক্ষম হলেও নাকি দুই জনকে কিছুটা উওম মধ্যম দিলে জানতে পারে তাদের সাথে আরও তিন যুবক রয়েছে।এরা হলেন বএিশ দ্রোন ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন নাথ এর পুএ অমরজিত নাথ,পূর্ব রৌয়া গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা নিবারণ দাস এর পুএ সভাষ দাস এবং একই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অখিল নাথ এর পুএ রাজিব নাথ।পরবর্তীতে পানিসাগর বাজারের একটি দোকান মদ্যপ অবস্থায় বাকি তিন যুবককে পাকরাও করে উওম মধ্যম দিয়ে ধৃত পাচ যুবক কে তোলে দেওয়া হয় পানিসাগর থানার পুলিশের হাতে।পাঁচ নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ মুলে পানিসাগর থানার পুলিশ পাঁচ অভিযুক্ত কে রাএিতেই আইনি প্রক্রিয়া সেরে জেল হাজতে রাখে।অভিযুক্তদের সাথে থাকা টি,আর,০২ এফ,০৭১৫ নম্বরের একটি অল্ট্রো গাড়ি,টি,আর,০৫ ডি,৬৯৪৬ ও টি,আর,০৫ ডি ৫৬৩৮ নম্বরের দুটি স্কুটি এবং টি,আর,০৫ ডি,৭৩৯৮ নম্বরের একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করে পানিসাগর পুলিশ।আজ সাত জুলাই অভিযুক্ত পাঁচ যুবক কে প্রেরন করেন ধর্মনগর স্হিত জেলা দায়রা আদালতে।তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টির আসল রহস্য জানতে চাইলে নির্যাতিতা নাবালিকা গুলোর পরিবারের পক্ষ থেকে মুখ খোলতে অনীহা প্রকাশ করে।তাতে করে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তোলে ধরা সম্ভব হয়নি।জানা গেছে অভিযুক্তদের পরিবার পরিজনেরা অভিযোগ করে জানায় অভিযুক্তদের দ্বারা নাবালিকা ছাএিরা ইভটিজিং এর স্বীকার হলেও কোন ধরনের অপহরনের চেষ্টা করা হয়নি বা তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য উটে আসেনি।এর পরও সাংবাদিকদের এড়িয়ে গিয়ে আসল সত্যি গোপন করে জোর পুর্বক চক্রান্ত করে অপহরনের মামলা রুজু করা হয়।স্পর্শকাতর এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়াতে ঘটনাটির আসল স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।গোটা বিষয়টি নিয়ে গোটা পানিসাগর মহকুমা জোরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে।