১৪ ই ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক তিনটা এিশ মিনিট নাগাদ উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত দেওছড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘটেযায় গায়ে কেরোসিন ডেলে ষাট বয়ষোর্ধ পৌড়ের আত্মহত্যা।ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে,ঐ এলাকার পেষায় অবসরপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট তথা মৃত চন্দ্র কিশোর দেবনাথ এর পুএ প্রদিপ দেবনাথ নিজ বাড়িতে পরিবারের লোকজনদের অনুপস্থিতির সুযোগ বুঝে গায়ে আগুন দিয়ে নিজে থেকেই আত্মঘাতী হয়।জানা গেছে মৃতার পরিবারে স্ত্রী সহ এক পুএ ও এক কন্যা রয়েছে।ছেলেটি বর্তমানে রাজ্যের প্যারামেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করছে।একমাএ কন্যার বিয়ের সমন্ধ পাকাপাকি ভাবে আসন্ন মাঘমাসে অনুষ্ঠিত হবার দিন তারিখ ঠিকঠাক হয়ে রয়েছে।পরিবার সুএে খবর রয়েছে তিনি চার পাঁচ টি জটিল ব্যাধিতে ভূগছিলেন।এলাকায় তিনি খুবই শান্ত এবং ভদ্র স্বভাবের হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।তবে তিনি বরাবরের মতো একটু চাপা স্বভাবের ছিলেন।কারোর সাথে তিনি কোন কিছু খোলামেলা ভাবে কথা বলতো না।আজ স্ত্রী ও কন্যা চারুপাশা স্থিত আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলে পুর্ব পরিকল্পনা মাফিক বাড়িটি একা পেয়ে নিজে থেকেই আত্মঘাতী হয়।পাশ্ববর্তী বাড়ির এক মহিলা প্রথমে দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে ঘটনা স্হলে ছুটে আসে আশপাশ এলাকার লোকজন।তড়িঘড়ি খবর পাটানো হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে।খবরপেয়ে পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বড় গাড়ি নিয়ে হাজির হয়।কিন্ত ততক্ষণে সব শেষ।পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ছোট গাড়িটি পাটিয়ে তাকে পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ কল্লোল বিশ্বাস প্রাথমিক চিকিৎসার পর মৃত বলে ঘোষনা করেন।হাসপাতাল সুএে জানানো হয় যে,মৃত ব্যাক্তির দেহ প্রায় নব্বই শতাংই আগুনে পুড়ে গেছে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে পৌছায় পানিসাগর থানার পুলিশ।আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য পানিসাগর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।পরবর্তীতে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয় বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে টেবিলের উপর একটি সুইসাইড নোট পায়।তাতে স্পষ্টতই লেখা রয়েছে তিনি স্ত্রী ও দুটি সন্তানকে প্রচন্ড ভালোবাসে,একমাএ মেয়ের বিয়ের অনুষ্টান নিজ বাড়িতে স্থান সংকুলানের জন্য করতে না পেরে একপ্রকারে ভেঙ্গে পরার কথাও লিখে যান।জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারিরীক ও মানুষিক ভাবে বিষন্নতার বিষয় উল্লেখ করেন।এমনকি ওর মৃত্যুর জন্য কেহই দায়ী নয় বলেও উল্লেখ করেন।কোন কোন ব্যাংকে টাকা রয়েছে তাও লিখে যান।পরিশেষে একমাএ পুএের পরিক্ষা এবং একমাএ মেয়ের বিয়ে যাথে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় তাও নোটে লিখে যান।পরিবারের পক্ষ থেকে সুইসাইড নোটটি পানিসাগর থানার হাতে তুলে দেন।পানিসাগর থানার পুলিশ এই নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত কার্য অব্যাহত রেখেছে।