১৬ ডিসেম্বর :- এবার ত্রিপুরায় পাখির চৌক করে মাঠে নামলো তৃনমূল কংগ্রেস। যদিও এ রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেস নিজেদের ভিত তেমন একটা মজবুত করতে পারেনি। অবশেষে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পিযুষ কান্তি বিশ্বাস মসনদ দখলের হুঙ্কার দিলেন। শুক্রবার উত্তর জেলার কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রে বিক্ষোভ মিছিল, বাজার সভা ও যোগদান সভা করে নির্বাচনি রন ডঙ্কার বাজালো তৃনমূল কংগ্রেস। এদিনের একাধিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি পিযুষ কান্তি বিশ্বাস, রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃনমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজিব বন্দোপাধ্যায়, মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পান্না দেব,যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা, উত্তর জেলার জেলা কনভেনার হাসিম তালুকদার, তৃনমূল নেতা বিমল নাথ প্রমুখ। মূলত দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি,বেকারত্ব ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে এদিন বিকেল তিনটায় প্রেমতলা বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কদমতলা বাজার পরিক্রমা করে নটরাজ মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।শেষে মুক্ত মঞ্চে বাজার সভা ও যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে প্রায় ভোটার ঘাস ফুলের নিচে সামিল হন। তাদের দলে বরন করে নেন উপস্থিত অতিথিরা।এদিকে উপস্থিত অতিথিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,রাজ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, অবনতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা।দ্রব্য মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এককথায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন অতিথিরা।কটাক্ষ করেন সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস দলকেও। তাঁরা বলেন, বিজেপি দল ভোট খোঁজার মতো পরিস্থিতি হারিয়ে ফেলেছে। ১৮ ডিসেম্বরের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জন সমর্থক দেখাতে ডিএম,বিডিও ও পঞ্চায়েত সচিবকে দিয়ে বিভিন্ন হিতাধীকারীদের চাপ দিয়ে জনসভায় নিয়ে যাওয়ার নোংরা চক্রান্ত চলছে।সিপিআইএম ও কংগ্রেস দল গোপন সমঝোতার মাধ্যমে নিজেরাই বিলীন হয়ে যাচ্ছে।বিধানসভা নির্বাচনে তারা দু একটি আসন পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে।কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই (এম) বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের নাম নিয়ে অতিথিরা বলেন,তিনি তো ভিতু বিধায়ক।সাড়ে চার বছরে বিধানসভার জনগনের স্বার্থে কি করেছেন?কদমতলায় আগর হাঁট,ডিগ্রি কলেজ,বি এড কলেজ স্হাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন অতিথিরা। (কদমতলা থেকে ভানু চন্দের প্রতিবেদন)।
বাইট•••।