শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, পানিসাগর, ১১ জানুয়ারি||এগারোই জানুয়ারি সাত সকালে উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা এলাকায় গায়ে কেরোসিন ডেলে আত্মঘাতীর ঘটনা ঘটে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,জলাবাসা এলাকার পুর্ব রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত প্রীতি লাল দাসের ৫৫ বর্ষিয়া স্ত্রী পেষায় আশা কর্মী মিনতি দাস প্রতিদিনের ন্যায় প্রাত ভ্রমনে বের হয়ে অনেকটা সময় কেটে গেলেও বাড়িতে ফিরেনি।এরই মধ্যে মিনতি দেবির বড় কন্যা বাড়ির পাশে জল আনতে গিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ধোয়া নির্গত অবস্থায় কিছু একটা দেখতে পেয়ে কৌতুহল বশত কিছুটা এগুতেই বুঝতে পারে জলন্ত অবস্থায় একটা মানুষের দেহ পরে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করলে ছুটে আসে ভাই,বোন সহ আসপাশ এলাকার লোকজন।শরিরের পরিধান করা কাপর জ্বলে যাওয়াতে প্রথমে কেহই মৃতদেহ সনাক্ত করতে পারেনি।পরবর্তীতে হাতের চুরি ও কেরোসিনের ড্রাম দেখে সনাক্ত হয় এটা মিনতি দেবির মৃতদেহ।ততক্ষনে দেহে আগুন জ্বলছিলো দেখে খবর পাটানো হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলন্ত অবস্থায় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলেও ততক্ষণে সব শেষ।ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে পানিসাগর থানার পুলিশ।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।এলাকাবাসীদের সুএে পাওয়া খবরে জানা যায়,বিগত প্রায় বছর দশেক পূর্বে অসুস্থতাজনিত কারণে অসময়ে মৃত্যু হয় মিনতি দেবির স্বামীর।এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান কে নিয়ে জীবন প্রতিপালনে দিশেহারা হয়ে পড়ে।স্বামীর মৃত্যুর পর মিনতি দেবি আশাকর্মী হিসেবে কর্মে যোগ দিলেও চার জনের সংসারের ভরনপোষন,পড়া শুনার খরচ সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ যোগাতে প্রতিনিয়ত বেসামাল হয়ে পরতেন।রাত দিন সবসময় এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।বর্তমান নিত্য পন্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবারের ভরনপোষন যোগানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পরায় মিনতি দেবী এক প্রকারের মানুষিক বিকারগ্রস্ত হয়ে উঠে।বিগত কিছুদিন যাবৎ কাল ধরে তিনি অবসাধ গ্রস্ত অবস্থায় থাকতো।এলাকাবাসিদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে পরিবার প্রতিপালন ছাড়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারটিতে আর কোন সমস্যা ছিলোনা।তাই অনুমান করা হচ্ছে প্রথমে মানুষিক অবসাধ ও পরবর্তীতে মানুষিক বিকারগ্রস্ত হয়ে ভারসাম্য হারিয়ে নিজেকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।তাই সংসার প্রতিপালনের প্রতি ব্যার্থ হয়ে জীবনের চরম পরিস্থিতির কাছে হেরে গিয়ে আত্মঘাতীর পথ বেছে নেয়।সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত জানা গেছে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ তোলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।এই নিয়ে পানিসাগর থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে আত্মঘাতী নাকি অন্য কিছু খতিয়ে দেখছেন।