শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি সুনামুরা ১৩ জুন।। সামান্য বৃষ্টি হলে বা হালকা বাতাস হলে দুই ভাই তাদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে পাশের বাড়ির অন্য ঘরে আশ্রয় নিতে হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে এ সমস্ত ঘরে গরু ছাগলও থাকে না। দেখুন আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন। সুনামুরা মহকুমার নলছড় আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রাঙ্গামাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নাম্বার ওয়ার্ড এর রাঙ্গামাটিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বিল্লাল হুসেন ও আনোয়ার হোসেন দুই ভাই বসবাস করে। বর্তমানে এই দুই ভাই তাদের বসবাসের যে ঘরে থাকে সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতরে জল ঢুকে যায়। ঘরের উপরে প্লাস্টিকের ছালা দিয়ে কোনোরকে আবরণ দিয়ে দুই ভাই খুব কষ্টে এই ঘরগুলোতে বসবাস করছে। বিল্লাল হোসেনের দুই মেয়ে এক ছেলে আর আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে। এই পরিবার দুইটি রাঙ্গামাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান এবং ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তাদের কাছে দীর্ঘ চার বষের উপর আবেদন করে আসছে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য। আর এদিকে রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান কানুর বালা দাস তাদেরকে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। ঘর হবে এবং হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে গত কয়েকদিন আগেও রাঙ্গামাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে অনেক সরকারি ঘর এসেছে এর মধ্যে প্রধান কানুন বালা দাস তার ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ঘর নিয়েছে। অথচ বিল্লাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এই দুই ভাইয়ের ভাগ্যে এবারও ঘর মিলল না। বর্তমানে যাদের বিল্ডিং ঘর রয়েছে তারাও সরকারি ঘর পাচ্ছে, অথচ এই দুই ভাই কতটা ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে তাদের বাচ্চা-কাচ্চাদেরকে নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছে। যাদের রেশন কাট খাদ্য সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর এমনও রেকর্ড রয়েছে অনেক পঞ্চায়েত গুলিতে ঘর দেওয়ার মতন লোক ছিল না তারপরেও যারা ঘর পেয়েছে তাদেরও সরকারি গর দিয়েছে। কিন্তু রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিল্লাল হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন কি দোষ করল এরা সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত হলো। যাদের ঘর দরকার রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান তাদেরকে ঘরনা দিয়ে আর যাদের বিল্ডিং এবং লক্ষ টাকার মালিক তাদেরকেও ভোট দিয়েছে। এই অসহায় দুটি পরিবার ঘর পাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে দ্বারস্ত হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তাদেরকে সরকারি ঘর দিয়ে বাচিয়ে তোলার জন্য। আসছে বর্ষাকাল এখন থেকে ২ পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তা রাতের বেলা ঘুমাতে পারছে না। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে বিল্লাল হোসেনের ঘরের পেছনের বেড়াটি তুফানে নিয়ে যায়।
সবকিছু মিলিয়ে এই দুটি পরিবারকে অবিলম্বে রাঙ্গামাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত যদি সরকারি ঘর দেয়, তাহলে পরিবার গুলি বেঁচে যাবে। তাছাড়া সরকার কার জন্য গরীবের জন্য তো।