শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, ইম্ফল,২২ জুলাই।।দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর এবার মহিলাদের নির্যাতনের আরও একটি ঘটনার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। এবার ২ মহিলাকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনাটিও ঘটেছে গত ৪ এপ্রিল। গোটা ঘটনায় সম্প্রতি থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই মহিলার বয়স ২১ বছর ও ২৪ বছর। ইম্ফল পূর্ব জেলার কোনুং মামাং এলাকায় গাড়ি ধোয়ার কাজ করতেন তাঁরা। সেখানেই একদল জনতার নির্যাতনের শিকার হন তাঁরা। ওই দলের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ছিল বলেও অভিযোগ। ক্ষিপ্ত জনতার দল ওই দুই মহিলাকে একটি ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার পর খুন করে বলে অভিযোগ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তাঁদের রক্তাক্ত দেহ ঘর থেকে টেনে বের করে আনা হয়। তাঁদের পরনের কাপড় ছেঁড়া ছিল, চুল কেটে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁদের দেহ বেপাত্তা করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত তাঁদের দেহের হদিশ মেলেনি।টনার ১২ দিন পর গত ১৬ মে মৃতদের মধ্যে একজনের মা সাইকুল থানায় এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে অভিযুক্ত সকলে গ্রেফতার হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন.বীরেন সিং। ন্যক্কারজনক এই সমস্ত ঘটনার তদন্তের ব্যাপারে তিনি নজরদারি চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। বিবস্ত্র কাণ্ডে ইতিমধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে।অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ধরনের কোনও ভিডিয়ো পোস্ট করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হেল্পলাইন 9233522822 চালু করেছে মণিপুর পুলিশ। অশান্তি ছড়াতে পারে, এরকম কোনও ভিডিয়ো কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে অবিলম্বে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানানোর আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের কাছে নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পণ করারও আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি হিংসা ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে বিভিন্ন জেলায় ১২০টি চেকপয়েন্ট খুলেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০০-র বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে