নয়ডা: সুপারটেক টুইন টাওয়ার, নয়ডার ৯৩এ সেক্টরে অহংয়ের এক জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল বিলাসবহুল এই জোড়া বিল্ডিং। আইনকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৩ সালে এই টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছিল প্রস্তুতকারী সংস্থা, প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই। ধোপে টেকেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা, বিক্ষোভ। বাধ্য হয়ে স্থানীয় এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়েই হবে পতন। প্রায় ৯ বছরের দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভেঙে ফেলা হবে বেআইনিভাবে তৈরি এই নয়ডার টুইন টাওয়ার।
প্রায় ৭.৫ লক্ষ বর্গফুট জমির উপরে তৈরি করা হয় জোড়া এই বিল্ডিং। দুটো টাওয়ার মিলিয়ে ছিল ৯১৫ টি ফ্ল্যাট, যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৬৩৩ টি। তিন বেডরুমের ফ্ল্যাটগুলির প্রতিটির দাম ধার্য করা হয় ১.১৩ কোটির মতো। সুপারটেক টুইন টাওয়ার তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৭০ কোটি টাকা। শুধু তৈরিতে না, এই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতেও খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি। যে পদ্ধতিতে এই বিল্ডিং ধ্বংস করা হবে তাতে সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংসতে সময় লাগবে প্রায় ৯ সেকেন্ড। ব্যবহার করা হবে ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক। ধ্বংস প্রক্রিয়ার কাজে নিযুক্ত একশ-রও বেশি শ্রমিক। আদালতের রায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এই ধ্বংসস্তূপ। যাতে আশেপাশের বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের কোনওরকমের ক্ষতি না হয়, তার জন্য রবিবার সকাল ৭ টার মধ্যেই সকলকে বিল্ডিং খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপাতত, নয়ডার এই টুইন টাওয়ার ধ্বংসকাজের জন্য চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এবার যারা এই সুপারটেক টুইন টাওয়ারে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের কী হবে? আদালতের রায়, টুইন টাওয়ারের ৬৩৩ জন ক্রেতাকে ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত দিতে হবে প্রস্তুতকারী সংস্থাকেই।