36 C
Agartala
Thursday, July 25, 2024
- Advertisemet -spot_img

পাতে ভাত সংকট? খাদ্য সংকট এড়াতে কেন্দ্রের বড়সড় সিদ্ধান্ত

দেশের জনগণের পেট ভরানো নিয়েই এখন চিন্তিত ভারত? চলতি বছরে তুলনামূলকভাবে ধান, গমের উৎপাদন কম হওয়ায়, দেশবাসীর পেট ভরাতে বিদেশে চাল রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবারই কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে খরিফ ফসল উৎপাদন এবার কম হয়েছে, সেই কারণেই জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন মেনে দেশে ধানের জোগান বজায় রাখতে আপাতত চলতি মরশুমের জন্য চাল রফতানি বন্ধ রাখা হচ্ছে।
খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত সাদা ভাঙা চাল রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে প্রিমিয়াম বাসমতি সহ অন্যান্য চালের রফতানিতে কোনও রাশ টানা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এবার উৎপাদন কম হওয়ায়, চালের দামও বাড়তে পারে বলে অনুমান বাজার বিশেষজ্ঞদের।

এই বিষয়ে সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে এমনিতেই গমের উৎপাদন কম হয়েছে। এর উপরে চলতি বর্ষার মরশুমে বিগত বছরগুলির তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খরিফ ফসল উৎপাদনেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ সহ যে রাজ্যগুলিতে ধান সবথেকে বেশি উৎপাদন হয়, সেখানে এবার প্রায় ধানের উৎপাদন ৭.৬ শতাংশ কম হয়েছে। গত বছরই যেখানে এই সময়ে ৩.৯ কোটি হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, সেখানে এবার ৩.৬ কোটি হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এবারে বর্ষা প্রায় নির্দিষ্ট সময়েই প্রবেশ করলেও, বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাতে ঘাটতির পরিমাণ যথাক্রমে ৪৫ শতাংশ, ৪১ শতাংশ, ২৭ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ার কারণেই চাষে প্রভাব পড়েছে। কারণ দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ফসল চাষের জন্যই কৃষকেরা বৃষ্টির জলের উপরে নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকার কারণেই এবার অনেক কৃষক ধানের বদলে অন্য চাষ করেছেন। সেই কারণেও ফসলের জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

Related Articles

যোগাযোগ রেখো

82,829ভক্তমত
834অনুগামিবৃন্দঅনুসরণ করা
1,320গ্রাহকদেরসাবস্ক্রাইব

সাম্প্রতিক প্রবন্ধসমূহ