36 C
Agartala
Sunday, April 14, 2024
- Advertisemet -spot_img

এবার অবিজেপি শাসিত রাজ্য ঝাড়খন্ডে সংকটে হেমন্তের সরকার

রাঁচি: সঙ্কটের মুখে ঝাড়খণ্ড সরকার। অবৈধ খনি মামলায় নাম জড়িয়েছে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই মর্মে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল রমেশ বেইসের কাছে। যদিও এই নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই জল্পনার মাঝেই ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএম জোট সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেই শাসক দলের বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল খুন্তি জেলায়। এবার একেবারে রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে শাসক দলের বিধায়কদের।
সূত্রে খবর, কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি বিধায়কদের রায়পুরে পাঠানো হতে পারে। আগেই এক কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছিলেন, অবিজেপি শাসিত ছত্তীসগড় ও পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বিধায়কদের। তবে সেই সময় বিধায়কদের অন্য কোনও রাজ্যে না নিয়ে গিয়ে হেমন্ত সোরেন সহ সব বিধায়করা খুন্তি জেলায় গেস্ট হাউসে আশ্রয় নেন। তারপর এদিন আবার রাঁচি বিমানবন্দরে দেখা যায় শাসকদলের বিধায়কদের। জানা গিয়েছে, মোট ৪৫ জন বিধায়ক রায়পুরের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছেন। তবে হেমন্ত সোরেন আপাতত রাজ্যেই রয়েছেন। হেমন্ত বলেছেন, ‘কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে না। আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিধায়কদের সঙ্গে আমিও গেলে জানিয়ে দেব।’
প্রসঙ্গত, ২৫ অগস্ট রাজ্য়পালের কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হয়। রাজ্যপাল রমেশ বেইস সেই নোটিস পেলেও এখনও সোরেনের বিধায়ক পদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এই আবহে ইউপিএ বিধায়করা যৌথ বিবৃতিতে অভিযোগ করেছিলেন, এই বিষয়টি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুলিয়ে’ রেখে রাজনৈতিক ঘোড়া কেনাবেচাকে উৎসাহ দিচ্ছে। এদিকে ২৭ অগস্ট বিধায়কদের খুন্তি নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাঝে দু’দিন গোটা বিষয়টি থিতু হয়ে যায়। এদিন ফের শাসকদলের রায়পুর যাওয়া নিয়ে সরকার পড়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা আরেক মাত্রা পেল।

Related Articles

যোগাযোগ রেখো

82,829ভক্তমত
834অনুগামিবৃন্দঅনুসরণ করা
1,320গ্রাহকদেরসাবস্ক্রাইব

সাম্প্রতিক প্রবন্ধসমূহ