শ্যামলী ত্রিপুরা, দিগন্ত দাস: পুজো এসে এসে দ্বারে, হাতে গোনা আর মাত্র বাকি ১৩ দিনের। তারপেই ক্লাবে ক্লাবে, পাড়ায় পাড়ায় পূজিত হবেন দেবী দূর্গা মা। বাঙালির প্রত্যেক বছরই অপেক্ষা করে থাকে এই পুজোর আশায়, পুজোর এই চার-পাঁচটা দিনকে আনন্দ-জাকজমকভাবে কাঁটাতে বাঙালিকে অপেক্ষায় থাকতে হয় ৩৬৫ দিন।
এবছরের পুজো প্রায় দরজায় কড়া নাড়ছে, মহালয়াও বাকি মাত্র ৬ দিন, আর মহালয়ার ৫ দিন বাদেই ষষ্ঠী পুজো দিতে শুরু।

ফলে জাকজমকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত বনেদি ক্লাবগুলো। মাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য চতুর্দিক সেজে উঠছে। কোথাও শিল্পীরা মাকে তৈরিতে ব্যস্ত, তো কোথাও প্যান্ডেল তৈরি করছে কারিগর, নইতো কোথাও আবার আলোকসজ্জা দিয়ে সাজাচ্ছে মন্ডপ। মূলত জাকজমক এবং আনন্দঘন করার লক্ষ্যেই কাজ করছে শহরের প্রত্যেক পুজো ক্লাব।

বিগত ২ বছর করোনা চলাকালীন অব্দি তেমন জাকজমকভাবে পুজো করতে পারেনি কেউই, সীমাবদ্ধতা ছিল চরম। কিন্তু এবছর করোনাকাল পেরিয়ে জাকজমকভাবে আয়োজন করছে প্রত্যেক ক্লাব। এবার জনঢলও বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে বলে ধারণা। ফলে জনঢল সামলানোরও পাক্কা ব্যবস্থা করছে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা।
