শ্যামলী ত্রিপুরা প্রতিনিধি, পানিসাগর ২৪ মে।। উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত পদ্মবিল রাম মন্দির সংলগ্ন সম্ভু দাস এর বাড়িতে ঘরের চাদে আচমকাই একটি বিরল প্রজাতির সাপ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।সাপটির আকৃতি বিশালাকার হওয়াতে বাড়ির লোকজন ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে।তাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে ছুটে আসে আশপাশ এলাকার লোকজন।সকলের সহযোগিতায় খবর পাটানো হয় পানিসাগর বন দপ্তরে।পরবর্তীতে দুপুর দুই টা নাগাদ পানিসাগর বন দপ্তরের অধিনস্থ জুরি,আর,এফ ধর্মটিলা ফরেস্ট বিট অফিসের কর্মকর্তা গন ছুটে গিয়ে সাপটি দেখে অনুমান করেন এটি বিরল প্রজাতির কিং কোবরা হবে।তাই উওর জেলার কদমতলার স্নেক সেভার কাজল দাস কে খবর পাটানো হয়।খবর পেয়ে স্নেক সেভার কাজল দাস ছুটে যায় পদ্মবিল স্থিত সম্ভু বাবুর বাড়িতে।তিনি উনার কৌশল মতো সাপটিকে ধরতে সক্ষম হয়।কাজল দাস জানান সাপটি আসলে বিরল প্রজাতির কিং কোবরা সাপ।সাপটি অত্যন্ত বিশধর হলেও এই প্রজাতির সাপ মুলত শীত প্রদান অঞ্চলে বেশি বসবাস করে।তাই বর্তমানে রাজ্য জোরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে।তিনি আরো জানান এই প্রজাতির সাপ বিগত ছয় মাস যাবৎ বেশ কয়েকটি উদ্ধার হয় পানিসাগর মহকুমার এদিক ওদিক থেকে।আজকের সাফটি লম্বায় প্রায় এগারো ফুট,আর ওজনে প্রায় নয় কিলো গ্রাম।উক্ত সাপ উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জুরি,ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ দাস।বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পরতেই শত শত কৌতূহলী জনগন ভীড় জমায় ঐ বাড়িতে।পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া সাপটিকে মুক্ত করে দেওয়া হয় পানিসাগর মহকুমার জনজাতি অধ্যুষিত দামছড়া বংশূলের গভীর অরণ্যে।